জাহাঙ্গীরকে বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে রায়ের দিন আবারও পেছাল

Slider বাংলার আদালত


গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের দিন আবারও পেছাল। আগামী ১৪ মে এ রুলের রায়ের জন্য নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে রুলটির রায়ের দিন তৃতীয় দফায় পেছাল।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন। মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীরের পদত্যাগের পর রিটের কার্যকারিতা আছে কি না, এ বিষয়ে শুনানির জন্য উভয়পক্ষকে প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলেছেন আদালত।

আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

এর আগে গত ২৮ মার্চ এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি হয়। পরে ৩০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য্য করেন আদালত। কিন্তু ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করতে আবেদন করে। সে আবেদন গ্রহণ করে রায় ঘোষণার জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য্য করেন আদালত। এদিনও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে আদালত রায় ঘোষণা পিছিয়ে ২ মে দিন ধার্য করা হয়।

তার আগে গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

তারও আগে গত বছরের ১৪ আগস্ট সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে এই মামলা হয়। মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগ থেকে ক্ষমা করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। তবে ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও এ নির্বাচনে তার মা প্রার্থী হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *