জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে জালাল হোসেন (৩২) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৫৫ মিনিটে আক্কেলপুর এলাকার হাস্তা বসন্তপুর অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জালাল হোসেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বাসিন্দা এবং তিনি একজন মানসিক রোগী বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন আক্কেলপুর রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার হাসিবুল হাসান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জালাল হোসেন মঙ্গলবার সকালে লেভেল ক্রসিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, ট্রেন কখন আসবে? সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী ঈদ স্পেশ্যাল-১৫ ট্রেন দুই নম্বর রেললাইনে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের সময় ওই লেভেল ক্রসিংয়ে গিয়ে ট্রেনটির তিনটি বগি পার হওয়ার সময় ট্রেনের নিচে মাথা দেন তিনি। ওই সময় তার আশেপাশে কোনো লোকজন ছিল না।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লেভেল ক্রসিয়ের দক্ষিণ পাশে আমার মুদি দোকান খুলে বসে ছিলাম। সকালে ওই যুবক আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ট্রেন কখন আসবে? এরপর তিনি লেভেল ক্রসিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রেনের ৩-৪টি বগি লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় তিনি রেললাইনে মাথা দেন। ওই সময় তিনি কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ’
আক্কেলপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন সরদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি এক যুবক ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার মাথা থেতলে গেছে। পরনে চেক লুঙ্গি ও গায়ে লাল গেঞ্জি পরা ছিল। তবে তার কাছে একটি মুঠোফোন রয়েছে। স্থানীয়রা মুঠোফোনের সূত্র ধরে পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
আক্কেলপুর রেলস্টেশনের সহকারী ষ্টেশন মাস্টার হাসিবুল হাসান বলেন, ‘জালাল বগুড়ার সোনাতলার বাসিন্দা, তার মাথায় সমস্যা ছিল। আমি জালালের শ্যালিকা ও ভায়রার সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। ট্রেনটি সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে আক্কেলপুর স্টেশনে প্রবেশ করে। তার কয়েক সেকেন্ড আগেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে সাস্তাহার রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর অভিযোগ থাকলে নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্ত করা হবে।