সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে লাবনী পয়েন্টে মানুষের ঢল

Slider চট্টগ্রাম

পবিত্র ঈদের ফিতরের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও ভিড় কমেনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন মনের আনন্দে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

ঈদের আগে টানা ছুটি থাকলেও সাপ্তাহিক বন্ধের কারণে এবার ঈদের পর মাত্র একদিন ছুটি ছিল। ফলে অনেকেই বেড়াতে বের হতে পারেননি। তারপরও কক্সবাজার সৈকতে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পর্যটকদের ভিড় রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সোমবার থেকে অফিস খোলা হলেও এখনো অনেক পর্যটক রয়েছে। তাদের ব্যবসাও মোটামুটি হচ্ছে।
সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ভিড়

সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে কথা হয় নারায়ণগঞ্জে থেকে আসা রুমন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি, অফিস থেকে অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। গরম আর বাতাসের মধ্যে মোটামুটি ভালোই লাগছে।’

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, ‘ঈদের পর ছুটি না থাকলেও মোটামুটি পর্যটক রয়েছে। আমাদের রুম খালি থাকলেও ব্যবসা ভালো হচ্ছে।’

সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানী হিমছড়িসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে বেড়াচ্ছে কক্সবাজারে আসা পর্যটকরা। তবে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট ও সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় আগতদের সিংহভাগই স্থানীয়।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজওনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবগুলো পর্যটন কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদস্যরা।’
সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ভিড়

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে কাজ করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিনটি ভ্রাম্যমাণ টিম। পর্যটকদের সমস্ত বিষয়গুলো দেখছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *