ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে আত্মার পরিশুদ্ধি, ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সংহতি প্রকাশের এক উদার উৎসব। ঈদের এ দিনটি প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানোর জন্য কতোই না ভোগান্তি পেরিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যায় সব মানুষ।
তবে কারাগারের বন্দীদের জন্য এদিনটা একটু ভিন্ন। এমন খুশির দিনেও যেহেতু তাদের স্বজনদের ছেড়ে থাকতে হয়, তাই প্রতিবছরই দুই ঈদে কারাবন্দীদের আনন্দ দিতে নানা আয়োজন করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। ঈদের দিন বন্দীদের যেন মন খারাপ না থাকে ও পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন না করতে পারার দুঃখ ভুলে থাকতে পারেন সেজন্য প্রতিবারই কারা কর্তৃপক্ষ এ আয়োজন করে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
কারা সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত গরমের কারণে এবারের ঈদে অন্য বছরের মতো বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে না। তবে কারাবন্দীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ বন্দীদের ঘরোয়া পরিবেশের আমেজ দেওয়ার জন্য সকাল ৭টায় তাদের স্ব স্ব সেলে মুড়ি, পায়েস ও চমচম মিষ্টি পাঠানো হয়েছে। মুড়ি, পায়েস ও চমচম খাওয়ার পর বন্দীরা ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন আজ দুপুরে ও রাতে বন্দীদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
দুপুরে যা খাবেন বন্দীরা
ঈদের দিন দুপুরে বন্দীদের জন্য কয়েক পদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুপুরে তারা পোলাও, মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস/খাসির মাংস খাবেন। এছাড়া কোমল পানীয় ও পান সুপারির ব্যবস্থাও থাকবে তাদের জন্য।
রাতের খাবার
ঈদের দিন রাতের বেলায় বন্দিরা খাবেন সাদা ভাত, আলুর দম, ডিম ও রুই মাছ। এছাড়া থাকবে কাগজি লেবু ও শসা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) ডেপুটি জেলার জহুরা খাতুন বলেন, ‘এবার অতিরিক্ত গরমের কারণে ঈদের দিন বন্দিদের জন্য বিনোদনের আয়োজন থাকছে না। তবে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিন তিন বেলা বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ৯ হাজারের বেশি বন্দিদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’