রাজধানীর কদমতলীর দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় প্রতিবেশী ভাইয়ের বাসা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা লতিফা বিনতে মাহবুবের (৩৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লতিফা বিনতে মাহবুব অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার এফআইটি সেকশনে অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি দক্ষিণ ধনিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা মাহবুবুর রহমানের মেয়ে। ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লতিফাকে স্বজনরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লতিফার প্রতিবেশী ভাই মোতালেব হোসেন বলেন, ‘লতিফাদের বাসা ও আমাদের বাসা পাশাপাশি। গতকাল সন্ধ্যায় অফিস থেকে সে আমাদের বাসায় এসেছিল। আসার পর কিছুটা অসুস্থ বোধ করলে আমাদের বাসায় থেকে যায়, রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে অনেক ডাকাডাকির পর তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে।’
মোতালেব হোসেন বলেন, ‘স্বজনদের খবর দিলে তারা আসে। সবাই মিলে দরজা ভেঙে দেখি, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে সেখান থেকে তাকে মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
মোতালেব হোসেন আরও বলেন, ‘লতিফাদের পারিবারিক ঝামেলা ছিল। মাঝে-মধ্যে আমাদের বাসায় এসে শেয়ার করত। সেই হিসেবে গতকালও আমাদের বাসায় এসে থেকে যায়।’
লতিফার বাবা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সাত বছর আগে তামজিদ খাদেমের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে সে নির্যাতন করত, মারধর করত। গত মাসের ১৮ তারিখে ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর থেকে সে (লতিফা) মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।