মার্কিন ইতিহাসে প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। প্রাক্তন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেবার মামলায় ডেনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবারে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, পরে অবশ্য ছাড়া পান তিনি।
সেদিন আদালতে বিচারপতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ পড়ে শোনান। তবে ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। এসব অভিযোগে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। এর মধ্যেই ট্রাম্পের জন্য সুখবর এসেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও আইপিএসওএসের এক জরিপে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সম্ভাবনার উন্নতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় মঙ্গলবার। এরপর বুধ ও বৃহস্পতিবার রয়টার্স ও আইপিএসওএস ১ হাজার ৪ জনের ওপর জরিপ চালায়। জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ৪৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফৌজদারি মামলা সঠিক পদক্ষেপই করা হয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বামে), স্টর্মি ড্যানিয়েলস (ডানে)
ফলাফলে আরও দেখা গেছে, স্বঘোষিত ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের ৮৪ শতাংশই মনে করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা ঠিকই হয়েছে। অন্যদিকে রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে ৪০ শতাংশ বলছে, ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার পর তাকে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা তাদের আরো বেড়েছে বেড়েছে।
এ ছাড়া ৩৮ শতাংশ জানিয়েছে, এ মামলার পর তাদের সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব পড়বে না। তারা ট্রাম্পের পক্ষেই আছে। তবে মাত্র ১২ শতাংশ ট্রাম্পকে আবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার ট্রাম্পই এগিয়ে আছেন।