দেশ টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি মো.অসীমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ২টি মামলা হয়েছে। খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলাটি ২১ মার্চ ও দ্বিতীয় মামলাটি ২৮ মার্চ করা হয়।
গত মঙ্গলবার খুলনার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কণিকা বিশ্বাসের আদালতে মামলাটি করেছেন তানিয়া বিউটি পার্লার ও শপিং মলের মালিক তানিয়া ইসলাম। এ মামলায় অসীম ৪ নম্বর আসামি। এছাড়া মামলার ১ নম্বর আসামি খালিশপুরের মো. মাহফুজুর রহমান খান, ২ নস্বর আসামি ঢাকার ফাস্ট নিউজের প্রকাশক ও সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন খান ও ৩ নম্বর আসামি ফাস্ট নিউজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. আলম খান।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল খুলনা সূত্রে জানা গেছে, মো. অসীম নামের দেশ টিভির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে খুলনা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৮ মার্চ দেশ টিভিতে ‘বিউটি পার্লারের আড়ালে অনৈতিক কাজ, দিনে পার্লারের কাজ রাতে চলে রংমহল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন তানিয়া।
এছাড়া ২৮ মার্চ খুলনার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কণিকা বিশ্বাসের আদালতে অপর মামলাটি সুমাইয়া কবির নামের এক নারী। এ মামলায় অসীম একমাত্র আসামি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে খুলনা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অসীম বলেন, ‘খুলনার আলোচিত তানিয়ার অপরাধ সাম্রাজ্যের খবর প্রকাশ করার জেরে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। তানিয়ার পালিত রংমহলের নারীদের দিয়েই আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি আমার জীবন নিয়ে সঙ্কটে আছি।’
এদিকে সাংবাদিক অসীমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা হওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খুলনার সাংবাদিকরা। অবিলম্বে অসীমের নামে সব মামলা প্রত্যাহার করার জোরাল দাবি জানিয়েছেন তারা।