ঢাকার সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সামসুজ্জামানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ২টায় মামলাটি করেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক যুবলীগ নেতা। কিবরিয়া ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আইন কিন্তু নিজস্ব গতিতে চলে। আইন অনুযায়ী, সমস্ত কিছু চলে। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা করে, সেই অনুযায়ী পুলিশ কিন্তু ব্যবস্থা নিতেই পারে। আমি যতটুকু জানি, একটা মামলা রুজু হয়েছে।’
এর আগে আজ ভোর ৪টার দিকে শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিরুদ্ধে। শামসুজ্জামান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আমবাগান এলাকায় থাকতেন। ঘটনার সময় সিআইডি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন বলে জানা গেছে।
দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে তিনটি গাড়িতে প্রায় ১৪–১৫ জন শামসুজ্জামানের বাসার সামনে যান। তাদের সাত থেকে আটজন বাসায় ঢোকেন। একজন শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ওই ব্যক্তিরা শামসুজ্জামানকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় যান।
ঘটনার সময় শামসুজ্জামানের বাসায় ছিলেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। তিনি বলেন, ‘ভোর পৌনে ৫টার দিকে শামসুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে আবার তার বাসায় যান সিআইডি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা। দ্বিতীয়বার বাসায় যাওয়ার সময় আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডলকে দেখা গেছে।’
তবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, শামসুজ্জামান ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিদের হামলায় নিহত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিমের ছোট ভাই।