ফরিদপুরের বালিশ মিষ্টির দাম ৩ হাজার টাকা!

Slider লাইফস্টাইল

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় চলছে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কাটাগড় মেলা। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার বিশেষ আকর্ষণ বালিশ মিষ্টি। মেলায় মিষ্টির সাইজ অনুযায়ী প্রতি পিস বালিশ মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। এ বছর মেলায় ৪০০ গ্রাম থেকে ৫ কেজি ওজনের বালিশ মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও মার্চের ২৬ তারিখ থেকে উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় বিশাল মাঠজুড়ে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ঐতিহ্যবাহী কাটাগড় মেলা। ধারণা করা হয়, প্রায় ২০০ বছর ধরে এ এলাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মেলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় কয়েক বছর ধরে প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠা বালিশ মিষ্টির বেশ কদর। সবচেয়ে ছোট প্রতিটি ৪০০ গ্রাম সাইজের বালিশ মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর সর্বোচ্চ ৫ কেজি ওজনের একটি বালিশ মিষ্টির দাম রাখা হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। তবে দাম যাই হোক, মেলার প্রধান আকর্ষণ বালিশ মিষ্টি দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে।

মেলায় আসা মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী বাজারের নিউ রাজ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক রামানন্দ বিশ্বাস বলেন,‘স্থায়ী দোকান ছাড়াও আমরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় মিষ্টির দোকান দেই। তবে কাটাগড় মেলার আলাদা ঐতিহ্য আছে। এ মেলায় প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। মেলায় ২ কেজি ওজনের এক পিস বালিশ মিষ্টির দাম ১৫০০ টাকা, ৪ কেজির দাম ২ হাজার টাকা ও ৫ কেজি ওজনের এক পিস মিষ্টির দাম ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। এবার বেচা বিক্রিও ভালো হচ্ছে।’

মেলায় আসা বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি চন্দ্র কিশোর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন রনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই এ মেলায় নিয়মিত আসি। এবারও ঐতিহ্যবাহী কাটাগড়ের মেলায় এসেছি। মাটির খুঁটিতে সাজ, বাতাসা, কদমা কেনা মেলার পুরাতন ঐতিহ্য এখনো রয়ে গেছে। মেলার আকর্ষণীয় বালিশ মিষ্টি খেয়েছি। বাড়ির জন্য মেলা থেকে ৫ কেজি ওজনের এক পিস বালিশ মিষ্টি নিয়েছি।’

রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বছরও মেলার আয়তন প্রায় তিন কিলোমিটার হবে। মেলায় বিভিন্ন পণ্যের পাঁচ হাজারের অধিক দোকান বসেছে। এ বছরও মেলার প্রধান আকর্ষণ বালিশ মিষ্টি। বিক্রেতারা জানাচ্ছে মুটামুটি ভালোই বেচাবিক্রি হচ্ছে। অনেক আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ এ মেলায় আসেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *