‘আইনজীবী-সাংবাদিকদের পিটিয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করা হয়েছে’

Slider বাংলার আদালত


‘আইনজীবী-সাংবাদিকদের পিটিয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করা হয়েছে’। –
বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের বৈঠকে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে পুলিশ প্রবেশের কোনো নজির নেই। বর্তমান সরকার সুপ্রিম কোর্টের অঙ্গনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়ে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় সূচনা করেছে। বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছে।’

বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েটের বৈঠক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার সভাপতিত্ব করেন। সভায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা যে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করে ভোট গ্রহণ ও নিজ দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে, তা দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে কলঙ্কিত করেছে। সুপ্রিম কোর্টের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য ও মর্যাদাকে ম্লান করে নিজেদের দলীয় স্বার্থে যে ভূমিকা রাখা হয়েছে, তাতে গোটা জাতি হতবাক।’

সভায় আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এক ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের অরাজকতা মেনে নেয়া যায় না। সারাদেশের আইনজীবীদেরকে সম্মিলিতভাবে এই ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ১৫ ও ১৬ মার্চ তারিখের কলঙ্কিত নির্বাচন বাতিল এবং এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। একই সাথে আগামী ২১ মার্চ দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করছে। দেশের সকল বারসমূহকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি সফল করার জন্য বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল আহ্বান জানাচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *