দেশের বাজারে লাখ টাকা ছাড়ালো রডের দাম

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


নির্মাণশিল্পের অন্যতম উপকরণ রডের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেল থেকে খুচরা বাজারে এক লাখ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি টন রড। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রতি টন রডের দাম বেড়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। ডলার সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপের মূল্যবৃদ্ধি, ফ্রেইট চার্জ এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে রডের বাজারে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় রড উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মকর্তা বলেন, ডলারের সংকট থাকায় চাইলেই স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য এলসি খোলা যাচ্ছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে স্ক্র্যাপ জাহাজের বুকিং রেট বেড়ে গেছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে জাহাজভাড়াও বেড়েছে। এতে স্ক্র্যাপের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে রড উৎপাদনে। ফলে বাড়ছে রডের দাম।

খুচরা রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী, ডিলার এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এবং বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতি টন এমএস রড এখন এক লাখ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে এ রডের দাম ছিল ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা। গত পাঁচ মাস আগে দাম ছিল টনপ্রতি ৮৪-৮৫ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকার ব্যবসায়ী আকিল আহমেদ জানান, নির্মাণকাজ আগের চেয়ে বেড়েছে। ১০-১৫ দিন আগে বুকিং দিয়েও রড পাওয়া যাচ্ছে না। হু হু করে বাড়ছে রডের দাম। প্রতি টন রডে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। কয়েকটি কোম্পানির রড এখন এক লাখ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামনে রডের দাম আরও বাড়তে পারে।

পটিয়ার খুচরা রড-সিমেন্ট বিক্রেতা ও এজেন্ট লতিফুর রহমান বাবু বলেন, বিএসআরএম ব্র্যান্ডের প্রতি টন রড বুধবার বিকেলে এক লাখ ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একেএস ও জিপিএইচ ইস্পাতের রডের দামও কাছাকাছি। শুধু কেএসআরএমের রড বিক্রি হচ্ছে ৯৮ হাজার টাকায়। অনেক কোম্পানিতে রডের মজুত না থাকায় জোগানে ঘাটতি হচ্ছে। ফলে রডের দাম কমাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *