খালেদা জিয়া মেট্রিকে শুধু অঙ্ক-উর্দুতে পাস: প্রধানমন্ত্রী

Slider রাজনীতি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নাকি মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি শুধু অঙ্ক আর উর্দুতে পাস করেছেন। উর্দু পাকিস্তানের ভাষা- এটা তার খুব প্রিয় ভাষা। আর অঙ্কতো টাকা গোণা লাগে। ওই দুইটাতেই পাস করেছেন। আর কোনোটাতে পাস করতে পারেনি।

শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি মানুষের ঘর দখল করেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গৃহহীন ও রাস্তার মানুষকে ঘর করে দিচ্ছে। আমরা আজকে প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যেখানে বিদ্যুৎ নাই আমরা সোলার প্যানেল করে দিচ্ছি। অনেক দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে।’

বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। মোটকথা আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ আমরা কারো কাছে হাত পাততে চাই না, আর ভিক্ষা করতে চাই না।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজের আওতায় যত জমি আছে তাতে চাষ করেছি। আপনারাও নিজেদের জমির এক ইঞ্চিও খালি রাখবেন না। আমরা যদি উৎপাদন বাড়াতে পারে তাহলে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলেও খাওয়া-পরে চলবে। আমরা সমস্যায় পড়ব না।’

কৃষি ও কৃষকের জন্য বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের সময় বিদেশি সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আপনি কীভাবে কী করবেন। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার দেশের উর্বর মাটি ও মানুষ দিয়েই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।’

তিনি বলেছেন, ‘২০০১ সালে আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করি, তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রেখে গেছি। ২০০১ সালে লুটপাট ও সন্ত্রাসীর দল বিএনপি ক্ষমতায় আসল। তারা আবার বাংলাদেশকে খাদ্যে ঘাটতির দেশে পরিণত করে। ২০০৯ সালে আবার যখন সরকার গঠন করি,তখন দেখি আবার সেই ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। আল্লাহর রহমতে দেশে এখন আর খাদ্য ঘাটতি নেই। ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য এখন মজুত আছে।’

এর আগে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জনসভাস্থল সার্কিট হাউস মাঠ থেকে একযোগে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সরকারপ্রধান। দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *