রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডের একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত এক মৃত ব্যক্তির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক নিয়ে গেছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় মরদেহ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল মর্গে। পরে পুলিশের ধাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আজ মঙ্গলবার রাতে ঢামেকের মর্গে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
জোর করে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ দিতে সময়ক্ষেপণ করছেন। তবে মৃত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোজ বলেন, ‘লাশের সুরতহালের দায়িত্ব পুলিশের। নিরাপত্তার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি ভবনে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিন দেখে গেছে, সাততলা যে ভবনে (ক্যাফে কুইন) বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ। বিস্ফোরণের ভয়াবহতা আঁচ করা যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা দেখেও। সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি যাত্রাবাহী বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বাসের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন বাসে বসে থাকা যাত্রীরাও।
এ ঘটনায় বিস্ফোরণের পর উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। মোট পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।