রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় মিলেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে একটি ভবনে এই বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে শতাধিক মানুষকে।
নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া ৮ জন হলেন লালবাগের ইসলামবাগের মমিনুল ইসলাম (৩৮) ও তার স্ত্রী নদী আক্তার, প্রবাসী সুমন, কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার নলচড় গ্রামের জুতা ব্যবসায়ীর ছেলে মো. মমিন, যাত্রাবাড়ীর শেখদী পশ্চিম পাড়ার মোশাররফ হোসাইনের ছেলে মুনসুর হোসাইন (৪০), বরিশাল কাজীরহাট চরসন্তশপুর গ্রামের ইসহাক মৃধা (৩৫), বংশাল আলুবাজারের মো. ইসমাইল হোসেন (৪২), কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ চুন কুটিয়া মাস্টার বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. রাহাদ এবং চাঁদপুর মতলব উপজেলায় পশ্চিম লালপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলামিন (২৩)।
নিহত অন্যদের এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। হতাহতদের খোঁজে অনেকেই ভিড় করছেন হাসপাতালে। প্রিয়জনদের ছবি দেখিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, এ পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন। আর আহত শতাধিক। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
জানা গেছে, বিস্ফোরণের পর উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। মোট পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এই বিস্ফোরণের কী কারণ মনে করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ বলেন, ‘এখন প্রাথমিকভাবে আমরা কারণ বলতে পারছি না। খালি চোখে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। বিস্ফোরকের কোনো গন্ধ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে কোনো স্প্লিন্টার পাওয়া যায়নি। তবে সকল বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি, আমাদের বিশেষজ্ঞদল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। দুয়েক দিন পরে বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে।’