টানা বসে কাজ, কাঁধে-পিঠের ব্যথা কমাতে যা করবেন

Slider লাইফস্টাইল


অনেককেই দিনের অধিকাংশ সময় ডেস্কে বসে কাজ করতে হয়। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে ঘাড় গুঁজে বসে থাকতে হয়। কেউ কেউ আবার বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে কেউ কেউ বিছানায় বা সোফায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন। এসব কারণে আজকাল অনেকেরই দেখা দিচ্ছে স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যা। এতে ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে ব্যথা হয়। অনেকের পিঠের নীচের অংশে বা কোমরেও অসহ্য যন্ত্রণা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে কাঁধ থেকে হাতে বা কোমর থেকে পায়েও যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ব্যথা হলেই দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। তবে তার আগে নিজেই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন-

মাঝে মাঝে বিরতি: দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করতে হলেও মাঝে মাঝে সময় বের করতে হবে। অন্তত দুই-তিন মিনিটের জন্য উঠে সামান্য পায়চারি করে নিতে হবে। তাতে ব্য়থা দূরে থাকতে পারে। তা ছাড়া টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বহুগুণে বেড়ে যায়।

চেয়ারে নজর: কোথায় বসে কাজ করছেন সেটা দেখা খুব প্রয়োজনীয়। পিঠ সোজা রেখে বসা যায় এমন চেয়ার ভালো। তবে কাজের জায়গায় সবসময় পছন্দমতো চেয়ার পাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে নিজেই বসার ভঙ্গির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পিঠ কুঁজো হয়ে আছে এমন ভঙ্গিতে দীর্ঘক্ষণ বসা যাবে না।

ভারী জিনিস নয়: কাঁধে বা ঘাড়ে ব্যথা হলে ভারী জিনিস নিয়ে বেশি হাঁটাচলা না করাই ভালো। ভারী ল্যাপটপ ব্য়াগ নিয়ে চলাফেরা করলে ব্যথা হতে পারে। প্রতিদিনই এক কাঁধে ভারী ব্যাগ না নেওয়াই ভালো। দুই কাঁধে ঝুলিয়ে নিলে চাপ কম পড়ে। যে কাঁধে ব্য়থা, কয়েকদিন তাতে ভারী জিনিস নেওয়া উচিত নয়।

আরামদায়ক বালিশ: শোয়ার সময়েও খেয়াল রাখতে হবে। বালিশ শক্ত কি না সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ঘুমোনোর সময় ঘাড় বেঁকে যাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে পারলে ভালো। কোন বিছানায়, কোন ভঙ্গিমায় শুলে পরের দিন ঘুম থেকে উঠে ব্যথা হচ্ছে না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নিয়মিত হালকা ব্যয়াম: ব্যথা কমাতে প্রতিদিন শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। সাঁতার হোক বা যোগব্যায়াম- অথবা নিয়মিত হাঁটা প্রতিদিন করার চেষ্টা করুন। এতে কিছুটা হলেও ব্যথা কমবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *