সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হচ্ছে রাতে স্থগিত হওয়া উদ্ধার কাজ

Slider জাতীয়


আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপলো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। সেখানকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৬টি মরদেহ। আহত ৩০ জনের বেশি। দগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফয়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট এক যোগে চেষ্ঠা চালিয়ে রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রাত আটটার পর প্ল্যান্টে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। যা ফের শুরু হবে সকালে। এদিকে ঘটনা তদন্তে গঠিত হয়েছে দুটি কমিটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরপরই আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত। বিস্ফোরণের পর লোহার বিভিন্ন খন্ড উড়ে আধাকিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে।

প্ল্যান্টে এই বিস্ফোরণ অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার রাতে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার দেখেছি। অনেক সময় সিলিন্ডারগুলো পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্তে তা বোঝা যাবে। তবে সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি।’

ওই অক্সিজেন সিলিন্ডার প্ল্যান্টে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর সেখানে যে অবস্থা হয়েছে, তাতে নিরাপত্তা পর্যাপ্ত ছিল কি না, তা বোঝার উপায় নেই।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘চমেকে আনা রোগীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত রয়েছে। তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক রয়েছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে যে কোনো সময়ে আরও চিকিৎসক আনা হবে।’

উল্লেখ্য, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক পারভেজ উদ্দিন সান্টু নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার পর তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত বছরের জুনেসীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ যায় অর্ধশতাধিক মানুষের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *