বিদ্যুৎখাতে সরকারের দুর্নীতিই দামবৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিদ্যুতখাতে দুর্নীতির ব্যয় মেটাতে সরকার দফায় দফায় দাম বাড়াচ্ছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন গতকাল রাতে বিদ্যুতের দাম আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এই কয়েক মাসের মধ্যে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দামবৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি দায়ী। এ কারণে বাড়তি ব্যয় মেটাতে তাদের (সরকার) এখন জনগণের পকেট থেকে টাকা নিতে হবে। সেই কারণে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে।বিদ্যুতের দামবৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কল-কারখানায় সমস্ত উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে, জীবনের ওপর চাপ পড়ছে।’
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে চাল-ডাল-তেল-লবণের মূল্য ভয়ানকভাবে বেড়ে গেছে। দেশের মানুষ চালের জন্য টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইন দিচ্ছে। মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে। সারা দেশে যখন দুর্ভিক্ষের মতো হাহাকার তখন আমাদের অনির্বাচিত অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকায় রাষ্ট্রপতির বাড়িতে গেছেন। সেখানে একটি উৎসব হচ্ছে। আপনারা নিশ্চয় পত্রিকায় দেখেছেন তাকে প্রায় ২৩ পদের মাছ দেওয়া হয়েছে…।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খাবারের অভাবে থাকা সাধারণ মানুষের সঙ্গে এটা রসিকতা। মানুষ এটা কোনোদিন ক্ষমা করবে না। এটা আমাদেরকে আরেকটা সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। বয়োজ্যেষ্ঠ যারা আছেন জানেন যে ১৯৭৪-৭৫ সালে তখনকার রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের দুর্নীতি-অব্যবস্থার কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, লাখ লাখ মানুষ না খেতে পেরে মারা গিয়েছিল।’
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।