রাজধানীর শাহ আলী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ূন কবিরকে (৪৪) হত্যা পর মডেল-অভিনেত্রী হয়ে যান ফজিলাতুন্নেছা রিয়া (২৯)। তখন নিজের নাম বদলে রাখেন সুহাসিনী অধরা। নতুন পরিচয়ে গত দশ বছর ভালোই চলছিল তার জীবন। তবে পরিচয় লুকিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এ আসামিকে আটক করেছে র্যাব–৩।
আজ শুক্রবার সকালে র্যাব-৩–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ফজিলাতুন্নেছা রিয়ার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ার থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
র্যাব জানায়, ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের ১০৫০/৩ কাঁঠালতলার একটি ভবন থেকে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ূন কবিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। শরীরে বিষক্রিয়া ইনজেকশন দিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হুমায়ূনকে হত্যা করেন ফজিলাতুন্নেছা রিয়া ও তার স্বামী রাফা-এ-মিষ্টি। এ হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি রাফা। গত বছর তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
র্যাবের হাতে আটক ফজিলাতুন্নেসা রিয়া ওরফে সুহাসিনী রিয়
র্যাব ৩–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রিয়া তার স্বামীসহ হুমায়ূন কবিরের বাসায় সাবলেট থাকতেন। ২০১৩ সালে হুমায়ূন হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে নারায়ণগঞ্জর ফতুল্লায় চলে যান রিয়া। সেখানে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
তিনি জানান, ২০১৫ সালে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করেন ফজিলাতুন্নেসা রিয়া। জাল এসএসসি সার্টিফিকেট তৈরি করে ঢাকার একটি মাল্টিমিডিয়া কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে ছোট ও বড় পর্দায় নাম লেখান।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, রিয়া তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা রিয়া থেকে বদলে সুহাসিনী অধরা করেন। নিজেকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর থেকে বসবাস শুরু করেন রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারে।