প্রথম ছুটির দিনে বইমেলায় আজ প্রথম শিশুপ্রহর

Slider জাতীয়


শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার তৃতীয় দিন আজ। মেলা শুরুর পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিন বইমেলার দ্বার খুলবে সকাল ১১টায়। একই সঙ্গে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বইমেলায় আজ থাকবে শিশুপ্রহর। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক ক্রেতা-পাঠকের পাশাপাশি শিশুদেরও সরব উপস্থিতি আশা করছেন সবাই।

প্রকাশক, লেখক সবাই বলছেন দিনটিতে মেলা বেশ জমবে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) লেখক-পাঠক ও দর্শনার্থীর ভিড়ে বইমেলার উভয় প্রাঙ্গণ প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছিল। এদিন মেলার দ্বার খোলে বিকেল ৩টায়। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রবেশ ফটকে সৃষ্টি হয় লম্বা লাইন। একসময় টিএসসি অংশের লাইন গিয়ে প্রধান সড়কের কাছাকাছি থেমে যায়। রমনা কালীমন্দিরের কাছে মেলার প্রধান ফটকসহ তিনটি ফটকেই ছিল একই দৃশ্য।

তবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিকের প্রবেশ ফটকটি চালু না হওয়ায় অনেক মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সন্ধ্যা নামার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভের লেকের পাড় থেকে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ গমগম করতে থাকে ভিড়ে। অনেক শিশুকেও দেখা গেছে মা-বাবাকে নিয়ে স্টলগুলোয় ঘুরে বেড়াতে। এদিকে বইয়ের বিক্রি খুব একটা না হলেও পাঠক নতুন বই খোঁজ করেছেন।

বইমেলায় শিশুদের প্রধান আকর্ষণ শিশু চত্বর। এ বছর মেলার এ অংশের নামকরণ করা হয়েছে শেখ রাসেলের নামে। আজ বিকেল ৩টায় এ চত্বরের উদ্বোধন করা হবে। যদিও গতকাল পর্যন্ত শিশু চত্বর ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি ছিল। শিশুতোষ প্রকাশনা সংস্থা ‘বাবুই’-এর প্রকাশক কাদের বাবু বলেন, শিশু চত্বর এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। গর্তের কারণে শিশুরা এসে এখানে পড়ে যেতে পরে। একাডেমির উচিত দ্রুত এটি ঠিক করা।

অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ বলেন, দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বইমেলার নানা পরিবর্তন দেখেছি। যার ধারাবাহিকতা এবারও আছে। মেলার আয়োজন এবার ব্যতিক্রম। আশা করছি খুব ভালো বইমেলা হবে।

এদিকে গতকাল মেলার দ্বিতীয় দিনে নতুন বই এসেছে ২১টি। বিকেল ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা লোকসাহিত্যে হাটুরে কবিতা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিলু কবীর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বেলাল হায়দার পারভেজ, আহমেদ মাওলা এবং তানভীর আহমদ সিডনী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন আখতার হোসেন, মুহাম্মদ শামসুল হক, ফারুক মাহমুদ ও পারভেজ হোসেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আসাদ মান্নান, নাসির আহমেদ ও মাহবুব আজীজ। এছাড়া ছিল আবৃত্তি, সংগীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *