এবার বিপাকে হিরো আলম

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

বিএনপির সংসদ সদস্যদের (এমপি) পদত্যাগের পর শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। আগামীকাল রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দুই আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। আবার একই দিন বিকেল ৪ টায় দেওয়া হবে প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেওয়ার রায়। এতে বিপাকে পড়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি এ দুই আসনের যে কোনো একটিতে নির্বাচন করতে চান।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা। এরপর গত ৮ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে ত্রুটির কারণে হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। দুটি আসনেই হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যান হিরো আলম। দুটি আসনেই মনোনয়ন নিশ্চিত করতে গত ১১ জানুয়ারি ইসিতে আপিল করেন তিনি। ১২ জানুয়ারি আপিলের শুনানি শেষে আপিলের রায় দেয়ার দিনক্ষণ ধার্য করা হয় ১৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টায়।

অন্যদিকে, নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুযারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত। হিরো আলম শেষ পর্যন্ত যে কোন একটি আসন থেকে নির্বাচন করার চিন্তা করছেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় এবং আপিলের রায়ের দিন একই দিনে হওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়া ১৬ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে অন্য প্রার্থীরা মাঠে থাকবেন কিন্তু হিরো আলম তা পারছেন না তার প্রার্থীতা নিশ্চিত না হওয়ায়।

হিরো আলম বলেন, ‘আমার সঙ্গে শুধু ষড়যন্ত্র আর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আমি যদি একটি আসনে নির্বাচন করি সেক্ষেত্রে আমি কীভাবে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবো অন্য আসনের। কারণ আপিলের রায়ও একই দিনে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আপিলের রায় আমার পক্ষে না গেলে উচ্চ আদালতের দারস্ত হবো। এভাবে শুধু সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু ভোটের জন্য গণসংযোগ করতে পারছি না। এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসে থাকতে হচ্ছে প্রার্থীতা ফেরত পেতে।’
\

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *