ডিম-সবজি ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


দেশজুড়ে কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ব্যহত হচ্ছে বাজারে সবজির সরবরাহ। ফলে খানিকটা বাড়তি সবজির দাম। এ ছাড়া বেড়েছে ডিমের দামও, সপ্তাহ ব্যবধানে ডজন প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম পড়ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটল ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ধুন্দল ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে শিম এবং ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতি পিস চাল কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ আকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং কাঁচকলার হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদার দাম পড়ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।

প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। প্রতি কেজি খোলা আটা ৬০-৬৫ টাকা এবং প্যাকেট আটার ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটার দাম পড়ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।

প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় মসুর ডালের দাম লাগছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা এবং লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ থেকে ২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের দাম পড়ছে ১৯৫ থেকে ২১০ টাকা।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ ও লেয়ার মুরগি ২১০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। কেজিপ্রতি পাইজাম ও বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। তবে, এখনও কমেনি মিনিকেট চালের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *