ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণি। তবে সেই ঘরে ঝড় উঠেছে। একসঙ্গে আর থাকা হচ্ছে না তাদের! দুজনেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ‘ম্যারিড স্ট্যাটাস’-এ পরিবর্তন এনেছেন এই তারকা দম্পতি।
কয়েক দিন আগেও পরীমণির ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বায়োতে লেখা ছিল, ‘ম্যারিড উইথ শরিফুল রাজ।’ তবে এখন সেখানে শুধু বিয়ের সময়টা (১৭ অক্টোবর, ২০২১) উল্লেখ রয়েছে। মুছে গেছে স্বামীর নাম।
শরিফুল রাজের আইডিতেও একই কাণ্ড। ‘ম্যারিড উইথ পরীমণি’র জায়গায় এখন শুধুই ‘ম্যারিড’ দেখা যাচ্ছে। মুছে দেওয়া হয়েছে পরীর নাম।
সংসার ভাঙনের গল্পের শুরুতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরী জানিয়েছিলেন, রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।
আরেকটি স্ট্যাটাসে নায়িকা জানিয়েছেন, রাজ্যের (ছেলে) দিকে তাকিয়ে সব ঠিক করার জন্য পড়ে থাকতেন। কিন্তু তাতে কি আসলেই তার বাচ্চা ভালো থাকবে!
পরীর ভাষ্যমতে, না, একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে রাজ্য বড় হতে পারে না। তাই তিনি রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যই আলাদা হয়ে গেছেন।
আক্ষেপ করে তিনি জানান, রাজ্য তার বাবা-মাকে একসঙ্গে নিয়ে বড় হতে পারল না, এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে আমার কাছে!
পরীর এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি গণমাধ্যমকে রাজ বলেন, ‘আমি কোনো সরকারি চাকরি করি না। আমাকে ছুটি দেওয়ার কিছু নেই। আমরা দ্রুতই আইনজীবীর সঙ্গে বসে অফিশিয়ালি সিদ্ধান্ত নেব। সন্তান কার কাছে থাকবে, এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ মেনে নেব।’
রাজের ভাষ্য, ঘরের বিষয় নিয়মিত ফেসবুকে চলে যাবে, এটা হতে পারে না! আমি অনেক সহ্য করেছি। এভাবে চলতে থাকলে জীবন চালানো অসম্ভব।
নায়কের আক্ষেপ, আমার বেডরুমের খবর সবার জানার কথা নয়। কিন্তু এখন সেটি ‘টক অব দ্য টাউন’-এ পরিণত হয়েছে। আমার বেডরুম নিয়ে সবাই মজা নিচ্ছে।
পরী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাকে আমি সম্মান করি। সে আমারসন্তানের মা। তার প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই কিছু বলতে চাই না।’