ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যারা সিগারেট থেকে দূরে থাকতে চান তাদের অনেককেই সিগারেট ব্যবহার করতে দেখা যায়। বিগত কয়েক বছরে সিগারেটের প্রতি এখনকার তরুণসমাজকে বেশি ঝুঁকতে দেখা গেছে। কিন্তু তাই বলে ই-সিগারেট ব্যবহার নিরাপদ বলে ধরে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বরং ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর ও বিপদজনক বলা হচ্ছে সিগারেটকে।
তামাকজাত দ্রব্যের আসক্তি কমাতেই ইলেকট্রনিক এ সিগারেটের আবিষ্কার হলেও বর্তমানে সিগারেট নিয়ে বিশ্বব্যাপী নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। ইলেকট্রনিক সিগারেটে কোনো তামাক না থাকলেও তামাকের উপাদান নিকোটিন থাকে। নিকোটিন হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করে থাকে বলে গবেষণায় প্রমাণিত। নিকোটিন উচ্চরক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরি করে থাকে। এটা শ্বাসতন্ত্রেও ক্ষতি করে থাকে।
ইউএসএফডিএর কমিশনার স্কট গুটিলেব এক প্রতিবেদনে বলেন, সিগারেটে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থটি অত্যন্ত উচ্চমানের এডিক্টিভ (নেশা সৃষ্টিকারী)। তরুণরা মনে করে এটা তামাকজাত দ্রব্যের চেয়ে নিরাপদ। কিন্তু এটা মোটেও নিরাপদ নয়।
বিস্ফোরণ ঘটতে পারে ব্যবহারের সময় এ ছাড়া ইলেকট্রনিক এ যন্ত্রটি ব্যবহার করতে বৈদ্যুতিক চার্জ দিতে হয়। বেশি চার্জ হয়ে গেলে এর ব্যাটারিটি বিস্ফোরিত হতে পারে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও এটি বিস্ফোরইট হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি-
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে,সিগারেট ব্যবহারকারীদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার দ্বিগুণ ঝুঁকি রয়েছে। আমেরিকান হার্ট ফাউন্ডেশন জার্নালে গত ২৩ আগস্ট প্রকাশিত এ বিষয়ক এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
তামাকজাত সিগারেট পানে অভ্যস্ত ধূমপায়ীদের চেয়ে যারা সিগারেট পান করেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের তিনগুণ ঝুঁকি রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো- যারা তামাকজাত সিগারেট ও সিগারেট দুটোই পান করেন একই সঙ্গে অধূমপায়ীদের থেকে এদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি পাঁচ গুণ।