রোদে যতক্ষণ থাকলে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়

লাইফস্টাইল


রোদে যাব, নাকি যাব না? গেলে কতক্ষণ থাকলে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হবে? ঘরে থেকে এমন চিন্তা কম-বেশি সবার মনেই আসে। যার কারণও আছে। এই যেমন রোদের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেটে ত্বক পুড়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের রোদ ত্বকের দারুণ উপকারে আসে।

কারণ ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম প্রধান উৎস সূর্যের আলো। শরীরে স্বাভাবিক নিয়মে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে সূর্যের আলো প্রয়োজন। কিন্তু রোদে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকের ক্ষতি হবে ভেবে অনেকেই বাইরে বেরোতে চান না। আবার অনেকেই ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হবে ভেবে একটানা রোদে গিয়ে বসে থাকেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ‘ডি’ শুধু হাড়ের জন্য জরুরি নয়। রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে এমন অনেক প্রোটিন এবং উৎসেচক তৈরিতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে হাড় এবং পেশির ক্ষয়, চুল ঝরে পড়া, হঠাৎ হঠাৎ মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া মতো লক্ষণ দেখা দেয়। অথচ, অনেকেই বুঝতে পারেন না ঠিক কী কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যেকোনো সময় গায়ে একটু রোদ লাগালেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়ে যায়। তবে, এই সময় যেহেতু রোদের তেজ বেশি থাকে তাই বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। কিন্তু কার দেহে কতটা সূর্যালোক শোষিত হবে তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির চামড়ার রঙের ওপর।

যাদের ত্বকের রং চাপা, তাদের অন্ততপক্ষে আধঘণ্টা রোদে থাকা উচিত। অন্যদিকে যাদের রঙ তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার, তাদের ১৫ মিনিটের বেশি সূর্যের আলোতে থাকার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া ত্বকে সরাসরি রোদ না লাগিয়ে হালকা বা সাদা রঙের পোশাক পরে রোদে থাকলে ত্বকের ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায়। আর মুখে, হাতে সরাসরি রোদ না লাগিয়ে, মেরুদণ্ডের কাছাকাছি অর্থাৎ পিঠে-ঘাড়ে রোদ লাগানো অনেক বেশি কার্যকর বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *