শান্তিরক্ষীদের দেশের পতাকা সমুন্নত রাখার আহ্বান

Slider জাতীয়

pm_om_455639285ঢাকা: দেশের পতাকা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর শান্তিরক্ষীদের কাছে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও জাতিসংঘের ঢাকায় নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামসহ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যেন আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে, সেজন্য সরকারের সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনাদের এই ভূমিকা চিরকাল স্মরণ রাখবে। আপনারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শাক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন, বিশ্বে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত রাখবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার বাংলায় প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তাহা সমগ্র বিশ্বেও নরনারীর গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন ঘটাইবে এং ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত শান্তিই দীর্ঘস্থায়ী হইতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, সেই থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতিম সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আজ সমগ্র বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বজন বিদিত। যা নিশ্চিতভাবে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী এবং পুলিশবাহিনীর সদস্যবৃন্দের সফল অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *