গাজীপুর গাজীপুরের বাসন থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আংশিক কমিটি ঘোষণা পরই সভাস্থলে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) সামনে বিক্ষোভ করে শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁরে ফেলা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুরের সংরক্ষিত আসনের এমপি শামসুন্নাহার ভুইয়া, গাজীপুর-৪ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মির্জা আজম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। সম্মেলনে সভাপত্বি করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজাল হোসেন সরকার রিপন
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাসন থানা কমিটিতে সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। পরে সভাপতি পদের প্রার্থীরা আব্দুল বারীকে সমর্থন দিয়ে নিজেরা সরে যান। তবে সভাপতি পদের প্রার্থিতা প্রত্যহারকারী মো. আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. শফিকুল ইসলাম শফি, মো. আমির হোসেন ও রাকিব সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই একদল উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত যুবক বিক্ষোভ শুরু করে এবং সম্মেলনস্থলে থাকা প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর ও আশেপাশে থাকা সম্মেলন উপলক্ষে টানানো বিভিন্ন প্রার্থীরা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে তছনছ করেছে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
বাসন থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন জানান, নতুন কমিটিতে কোনো প্রার্থী কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন। তারা নতুন কমিটি ঘোষণা শেষ হওয়ামাত্রই উত্তেজিত হয়ে সভাস্থলের শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর ও তছনছ করেছেন। এ ছাড়া ব্যানার-ফেস্টুনও ছিঁড়ে ফেলেছেন।
বাসন থানা হওয়ার পর আওয়ামী লীগের এটাই ছিল প্রথম সম্মেলন। আজকের অনুষ্ঠান থেকে আগামী ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখও ঘোষণা করেন দলের মহানগনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান।
সম্মেলনে সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারীকে সভাপতি, মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য ফাইজুল আলম দীলিপকে সহসভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ও ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. শফিকুল ইসলাম শফি, মো. আমির হোসেন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক রাকিব সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক ঘোষণা করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি। এই কমিটি পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।