অ্যাডিলেড ওভালে বৃষ্টি থামার পর ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নতুন টার্গেট পেয়েছিল ১৬ ওভারে ১৫১ রান। ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান করায় বাংলাদেশের বাকি ৯ ওভারে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৮৫ রান। কিন্তু নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেই খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। উড়ন্ত ব্যাটিং করা লিটন দাস রান আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সাকিবের দল।
ফলে নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানেই থেমে যায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ৫ রানে হেরে গেল সোহান-তাসকিনরা।
বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরুর প্রথম বলেই সিঙ্গেল নেওয়ার পথে স্লিপ কেটে পড়ে যান লিটন দাস। ব্যথা পেলেন কব্জিতে। ওই ওভারেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। লোকেশ রাহুলের সরাসরি থ্রো বেলস ফেলে দেওয়ার সময় বেশ দূরে ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২৭ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে ৬০ রান করেন লিটন।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে অধিনায়ক সাকিব দলের হাল ধরেন। পরের ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকে বিশাল এক ছক্কা মারেন তিনি। কিন্তু মোহাম্মদ শামির বল সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান। ২৫ বলে ধীর গতিতে মাত্র ২১ রান করেন তিনি।
এরপর ১২তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আশার প্রদীপ আফিফ হোসেন ৫ বলে ৩ রান করার পর সাকিব ফেরেন ১২ বলে ১৩ রান করে। বার বার সুযোগ পেয়েও নিজের নামের প্রতি কোনো সুবিচার করতে পারেননি ইয়াসির আলীও। ফিরেছেন ১ রান করে।
মোসাদ্দেক হোসেন ক্রিজে এসে প্রথম বলেই ছক্কা মেরে আশায় ফেরান। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার ওই ওভারেই বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনিও। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ও পেসার তাসকিন আহমেদ মিলে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেন। কিন্তু বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে পারেননি।
নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানেই থেমে যায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ৫ রানে হেরে গেল সোহান-তাসকিনরা। ফলে অতীতের মতো এবারও ভারত জুজু কাটলো না সাকিবদের।
এর আগে কিপটে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করলেও রানের লাগাম ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। মিডল অর্ডারে বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের ঝোড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ভারত। তবে শেষ দিকে রানের গতি কিছুটা কমলেও বাংলাদেশকে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। হাসান মাহমুদের ৩ উইকেটের সাথে সাকিব নিয়েছেন ২ উইকেট।