পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের ‘নৌ’ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাতিয়ার নলচিরা, চরঈশ্বর, নিঝুমদ্বীপ ও চানন্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কিছু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়ে মানুষকে বেড়িবাঁধের বাহির থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করেছে হাতিয়া আবহাওয়া অফিস। এ সময় সিপিপির সদস্যরা সিগনাল পতাকা উত্তোলন করে জনগনকে সর্তক করেন।
উপজেলা সিপিসি কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, হাতিয়াতে সিপিপির ১৭৭ ইউনিট কাজ করছে। সকাল থেকে তারা বেড়িবাঁধে হেঁটে মাইকিং করেন। ভোর থেকে হাতিয়ায় বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ডবেগে বাতাস বইছে। সমুদ্রে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক ফুট উচ্চতায় জোয়ার হচ্ছে। নলচিরা, চানন্দী ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে জোয়রের পানিতে অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কেফায়েত উল্যা জানান, তার ওয়ার্ডে প্রায় শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
হাতিয়া আবহাওয়া অফিসের সূত্রে জানা যায়, নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার বিভিন্নস্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়। রাত থেকে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে তা আরও শক্তি সঞ্চয় করে উপকুলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। রাতের দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উপকুলে আঘাত হানতে পারে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, সিত্রাং মোকাবেলায় সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির
সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৩২৫টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল ধরনের প্রতিকুলতা মোকাবিলায় ১৭৭টি সেচ্ছাসেবী টিম
প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল থেকে বাতাশ ও জোয়ারের উপজেলার অনেক ইউনিয়ন থেকে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার সংবাদ আসছে। রাতে ক্ষয়-ক্ষতির এই পরিসংখ্যান তালিকাভুক্ত করা হবে।