টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে নেদারল্যান্ডস। সর্বশেষ সাকিব আল হাসানের প্রথম ওভারে ২টি রান আউট হয়েছে ডাচরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান করেছে নেদারল্যান্ডস।
১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে তাসকিনের প্রথম দুই বলেই উইকেট হারায় ডাচরা। ইনিংসের প্রথম বলে বিক্রম সিং খোঁচা দিলে স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যাচ নেন। পরের বলেই বাস ডি লিডকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসে ক্যাচে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেন তাসকিন।
আজ সোমবার হোবার্টে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে গ্রুপ টুতে মুখোমুখি হয়েছে দুদল। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে। যেখানে টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে টাইগাররা। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ডাচ বোলারদের তোপে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করতে পারে।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৫ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ষষ্ঠ ওভারে পল ফন মেকেরেন প্রথম বলে শর্টে থাকা ফিল্ডার বাস ডি লিডের কাছে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। ১৪ রান করেন এই ব্যাটার। পরের ওভারেই বিদায় নেন শান্ত। এবার টিম প্রিঙ্গলের বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ২০ বলে ৪টি চারে ২৫ করা এই বাঁহাতি।
দলের সেরা দুই ব্যাটার লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান দ্রুত বিদায় নেন। নবম ওভারে লোগান ফন বিকের বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে টম কুপারকে ক্যাচ দেন লিটন। আর ৭ রান করে শারিজ আহমাদের বলে আউট হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। তবে শুরু হওয়ার পর মাঠে ফিরেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফন মেকেরেনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ইয়াসির আলি। ৩ রান করে বোল্ড হন তিনি।
এরপর আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তারা ৩৭ বলে ৪৪ রান তোলেন। তবে দলীয় ১৮তম ওভারে বাস ডি লিডের শিকারে ফেরে দুজনই। নুরুল ১৩ রানে মাঠ ছাড়েন। আর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে আউট হন আফিফ। এই ব্যাটার ২৭ বলে ২টি চার ও সমান ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। শেষ দিকে ১২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক হোসেন।
ডাচ বোলারদের মধ্যে পল ফন মেকেরেন ও বাস ডি লিড ২টি করে উইকেট পান।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্ত।
নেদারল্যান্ডস একাদশ: স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), কলিন আকারম্যান, শারিজ আহমাদ, লোগান ফন বিক, টম কুপার, ফ্রেড ক্লাসেন, বাস ডে লিড, পল ফন মেকেরেন, মাক্স ও’ডাওড, বিক্রম সিং ও টিম প্রিঙ্গল।