শঙ্কা সত্যি হলো; দুই ওপেনার ভালো না খেললে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডও সমৃদ্ধ হয় না- সেটিই ঘটল আজ। রোববার ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের ম্যাচে মাত্র ১৫৯ রান সংগ্রহ করলেন পাক-ব্যাটাররা। তবে কন্ডিশন বিবেচনায় এটিকে লড়াকু সংগ্রহ বলা যায়।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। হাইভোল্টেজ এ ম্যাচে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল পাকিস্তান। বাবর আজম গোল্ডেন ডাক মারার পর মোহাম্মদ রিজওয়ানও ফেরেন ১২ বলে মাত্র ৪ রান করে। দুজনকেই ফিরিয়ে দারুন সূচনা করেছিলেন ভারতের তরুণ পেসার আর্শদ্বীপ সিং।
এরপর শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলের বিপর্যয় কাটিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তবে ইফতিখার আহমেদ ব্যক্তিগত ফিফটি হাঁকিয়ে ফিরে যান। তার ৩৪ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ছিল চারটি বিশাল ছক্কার মার।
এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়লে আবারো চাপে পড়ে পাকিস্তান। এরপর ব্যাটিংয়ে নামা সাদাব খান আউট হন ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে। হায়দার আলিও সুবিধা করতে পারেননি, তিনি আউট হন ৪ বলে ২ রানে। মোহাম্মদ নাওয়াজ চোখধাঁধানো দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজেদের সমর্থকদের মনে আশা জাগালেও ভালো করতে পারেনি তিনিও। করেন ৯ রান। বল খরচ করেছেন ৬টি। এরপর আসিফ এসে মাত্র ২ রান করেন। শেষ দিকে অবশ্য শাহিন একটি করে চার-ছক্কায় ৮ বলে করেন ১৬ রান। তিনি আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন হারিস রউফ। হারিস এক ছক্কায় করেন ৬ রান।
এর আগে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৃষ্টির জন্য মেলবোর্নে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে আশার খবর এই যে, বৃষ্টি হচ্ছে না সেখানে। বরং রোদের দেখা মিলেছে। ম্যাচ যথা সময়ে শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত মোট ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। তাতে ভারতের ৮ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তান জিতেছে মোটে ৩টি ম্যাচ। এছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের দুর্ভাগ্য তো আছেই। গত ট-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিশ্ব আসরে কখনোই ভারতে বিপক্ষে জিততে পারেনি পাকিস্তান।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার ও অর্শদীপ সিং।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলি, হায়দার আলি, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শান মাসুদ।