অভিবাসীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র

Slider সারাবিশ্ব

rohingya_bg_791594344ঢাকা: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভাসমান বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেরি হার্ফের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

মেরি হার্ফ বলেন, অভিবাসীদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনে জাতিসংঘ অভিবাসন এজেন্সির নেতৃত্বে বহুজাতিক প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত তিন সপ্তাহে তিন হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা অভিবাসী মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশীয় উপকূলে ভিড়েছে। সহায়তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সাগরে ভাসমান অবস্থায় আরও কয়েক হাজার অভিবাসী অপুষ্টি ও অসুস্থ অবস্থায় মানবেতর দিনযাপণ করছে।

এর আগে অনাহুত অভিবাসী আতঙ্কে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া তাদের উপকূল থেকে বেশ কয়েকটি অভিবাসীবাহী নৌকা সাগরে ফিরিয়ে দেয়। তবে বুধবার (২০ মে) নিজেদের মত পাল্টায় ওই তিন দেশ।

এই মত পাল্টানোর বিষয়ে তিন দেশের সরকারকে স্বাগত জানিয়ে মেরি হার্ফ বলেন, সাগরে ভাসমান প্রায় সাত হাজার অভিবাসীকে উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা দিতে রাজি হওয়ায় তিন দেশ আসলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজেদের দায়িত্ব পালনেরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বছর ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা অভিবাসীকে পুনর্বাসিত করেছে বলে এসময় জানান মেরি।

এদিকে, মার্কিন উপ পরারাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার (২১ মে) মায়ানমার সফর করবেন বলে জানা গেছে। এসময় তিনি অভিবাসী সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে মায়ানমার সরকারকে অনুরোধ জানাবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মেরা হার্ফ বলেন, অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মায়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বানও জানাবেন এই সফরে।

হার্ফ বলেন, অভিবাসী সমস্যা নিরসনের একমাত্র সমাধান হল যে কারণে তারা দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে, সেই কারণটাকে প্রশমিত করা।

এক হিসাবে জানা গেছে, বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমার থেকে গত তিন বছরে অন্তত এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে।

তবে মায়ানমার সরকার দাবি করে, রোহিঙ্গারা আসলে বাংলাদেশি। নিজেদের দেশ ত্যাগ করে তারা মায়ানমারে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাস করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *