পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুখবর নেই, তবে তাদের ফেরাতে আলোচনা চলছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি হওয়ার আগের অবস্থানে রয়েছে। ভেরিফিকেশিনের পরে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে তারা আশ্বস্ত করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। এ ছাড়া সীমান্তে মর্টারশেল আর পরবে না বলে আশ্বস্ত করেছে মিয়ানমার।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও সংকট সমাধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি চীনা পক্ষ। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত জিমিং ইঙ্গিত দিয়েছেন, তারা মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব কথা বলেছেন তার ভিত্তিতে তারা ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ফলাফল’ তুলে ধরতে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের আশ্বাস দিলেও গত পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি দেশটি। বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।