ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত কয়েকদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে দুর্ভিক্ষের আভাস দিয়েছেন সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সমস্যা কেন এটা আমরাও বুঝতে পারছি না।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুটি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সমস্যাটাতো আমরাও বুঝতে পারছি না। কারণ ওনারা কিছুদিন আগেও দাবি করেছেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হয়ে গেছেন। আজকে কি এমন ঘটলো যে তারা এখন ভয় পাচ্ছেন, খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
তিনি বলেন, মূল বিষয়টা হচ্ছে প্রতিটি খাতে, প্রতিটি ক্ষেত্রে এতবেশি দুর্নীতি যে সেই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সবখানে এত বেশি দুঃশাসন হয়েছে মিস রুল হয়েছে যে নাথিং ইজ আন্ডার দেওয়ার কন্ট্রোল। যে কারণে বিদ্যুতের সমস্যা তৈরি হয়েছে বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। অন্যদিকে আট হাজার কোটি টাকার ইভিএম কিনতে যাচ্ছে জালিয়াতির ভোট করার জন্য। ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আর মুখ্য সচিবের বাড়ি তৈরি করা হবে। আপনি কী আসা করেন, অবিশাস্য একটা ঘটনা। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে এই দুর্নীতি চলছে। সেজন্য তারা এই অবস্থায় উপনীত হয়েছে। আজকে এই সরকার সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির জনসমাবেশে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামে, ময়মনসিংহে জনতার ঢল নেমে এসেছে। ময়মনসিংহে অঘোষিত কার্ফু জারি করেছে। একটা গাড়ি চলতে দেয়নি। আগের রাতে নজরুল নজরুল ইসলাম খান সাহেব যে হোটেলে ছিলেন সেই হোটেলে গুলি বর্ষণ করেছে, ককটেল নিক্ষেপ করেছে। তারপরও কিন্তু কোনো বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি। উল্টো পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের ৪০০ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা বলে আসছি এভাবে গুলি করে হত্যা করে, গুম করে কোনোদিনই ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।
তথ্য সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটার জবাব আমি দেব না। দ্যাটস নট মাই বিজিনেস।