ভোটার ১৭৬, মেয়রের সঙ্গেই কেন্দ্রে ঢুকলেন ১৩০ জন!

Slider রাজশাহী

নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিংড়া উপজেলার গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৭৬। তাদের মধ্যে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে একসঙ্গে ১৩০ জন ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে প্রার্থীদের মাঝে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, সকাল ৯টায় শুরু হয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ১৩ জন ভোটার নিয়ে ওই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন সিংড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস।

তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খানের চশমা প্রতীকের ভোটার ও সমর্থক হিসেবে আমরা সকাল থেকেই শহরে জড়ো হই। এরপর তাদের একত্র করি এবং আট ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩০ জন ভোটার নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করি।’

জান্নাতুল ফেরদৌস আরও বলেন, ‘সকাল থেকেই সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হবে বলে আশা করছি।’

গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খন্দকার শরিফ বলেন, ‌‘একটি ইউনিয়নের ভোটাররা একসঙ্গে কেন্দ্রে এসেছিলেন। তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ এখনও চলছে।’

এদিকে টিউবওয়েল প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আবু মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আল আজাদ অভিযোগ করে বলেন, গতরাতে তার পোস্টার কেন্দ্রের নির্ধারিত সীমানার বাইরেও সাঁটাতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অনেক জায়গায় তার পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। ভোট শুরুর পরও বিভিন্ন জায়গায় তার পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্থানীয় এসিল্যান্ডকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। এক পর্যায়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে এ বিষয় নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বলে জানান আজাদ।

এ বিষয়ে এসিল্যান্ড আল ইমরান বলেন, ‘পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পেয়েছি। তবে টিউবওয়েল প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আবু মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আল আজাদের লোকজন কেন্দ্রের ভেতর পোস্টার সাঁটাতে চেয়েছিলেন। তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *