ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (১০ অক্টোবর) চালানো হয় এই হামলা। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেননা, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভবনটি খালি অবস্থায় ছিল।-দ্য গার্ডিয়ান
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ইউক্রেনে রুশ অভিযানের শুরুর দিকে কয়েক দফা টার্গেট হলেও গত কয়েকমাস শান্ত ছিল রাজধানী কিয়েভ। সোমবার সকাল থেকেই মুহুর্মুহু মিসাইল পড়ছে গোটা অঞ্চলে। তার মধ্যে একটি গিয়ে পড়েছে জার্মান দূতাবাসেও। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দূতাবাসে মিসাইল পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টারাস নামে একজন ব্যাক্তি জানান, হামলার সময় দূতাবাস খালি ছিল। এ ব্যাপারে টুইটে টারাস নামে ওই ব্যাক্তি প্রথমে জানান, রাশিয়ার মিসাইল আঘাত করেছে দুটি জাদুঘরে, একটি পথচারী ব্রিজে এবং একটি অফিসে। তার সেই টুইটের জবাবে ইন্টেলসিৎজো নামে একজন লিখেন, ওই অফিসে জার্মান দূতাবাস ছিল। এসব হামলা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জীবনকে হুমকিতে ফেলেছিল। হয়তবা কেউ আহত বা নিহত হয়েছে।
রাশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সের্গেই সামলেনি টুইট করে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের কাছে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছেন। হামলার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে তিনি টুইটে বলেন, কিয়েভে জার্মান দূতাবাসের ভিসা অফিসে এই হামলা চালানো হয়। ঘটনার ভয়াবহতা যাচাই করতে কয়েকটি চিতাবাঘকে সেখানে পাঠানো যেতে পারে।
এ ছাড়া, ক্রাইমিয়ার সেতুতে বিস্ফারণের দু’দিন পর ইউক্রেনের রাজধানীতে তীব্র হামলা চালিয়ে জবাব দিচ্ছে রাশিয়া। সোমবার দফায় দফায় বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয় কিয়েভ। খারকিভ, জাপোরিঝিয়া, নিপ্রোসহ অন্তত ১০ অঞ্চলে চলে রুশ বাহিনীর তাণ্ডব। মিসাইল হামলায় উড়ে গেছে কিয়েভের জনপ্রিয় ক্লিচকো ব্রিজ।
এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের অভিযোগ, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৮৩টি মিসাইল ছুড়েছে রুশ বাহিনী। এ পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু ও ২৪ জন আহতের খবর নিশ্চিত করেছে কিয়েভ।