বিএনপির নেতৃত্বে নামবে নাগরিক ঐক্য-জামায়াত

Slider রাজনীতি

বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের চেষ্টা চলছে। এ লক্ষ্যে আলোচনা শেষ পর্যায়ে। যে কোনো দিন বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা দেবে। এ আন্দোলনে মাঠে নামবে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনাসভায় এ তিন দলের নেতারা এসব কথা বলেন।

এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমেদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান প্রমুখ।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মত প্রকাশ করেন এলডিপি, নাগরিক ঐক্য ও জামায়াত নেতারা। এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের একটা চেষ্টা চলছে। এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কীভাবে আন্দোলন হবে, তার রূপরেখা যে কোনো দিন জাতির সামনে তুলে ধরবে বিএনপি। সে রূপরেখার সঙ্গে আমরা একমত।

গত বুধবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি অভিযোগ করে অলি আ মেদ বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে আশা নিয়ে ভারত গিয়েছিলেন, তা প্রতিফলিত হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। অনেককে হায়ার (ভাড়া) করেছিলেন। তারা নিশ্চয়তা দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবে; কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই। এখন ভূরাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এরই মধ্যে দেশের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য হয়েছে। ঐক্যটি হলো- এ সরকারের অধীন তারা নির্বাচনে যাবে না। মান্না আরও বলেন, আমরা যারা যারা ঐক্য গড়ে তুলব, তারা প্রথম দফায় একবার কথা বলেছি। দ্বিতীয় দফায় কথা বলব। বলতে বলতে তিন মাস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত হতাশ হইনি। ঐক্য হবে আশা করি। ঐক্য হওয়ার পর ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামব।

তিনি আরও বলেন, ১৪ বছর ধরে একা একা আন্দোলন করে কোনো ফল আসেনি। তাই সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে যেতে হবে। এখনই সময় আন্দোলন করার। সময় বুঝে আন্দোলনে নামতে হবে। এ জন্য হিম্মত থাকতে হবে। নাগরিক ঐক্যর সভাপতি আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রথমে ভারতে পাঠানো হয়েছিল; কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এর পর তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গেছেন; কিন্তু এবার ভারত তাকে বলেনি যে- ঠিক আছে, নিশ্চিত থাকেন। এবার আওয়ামী লীগ সরকার বুঝতে পেরেছে, পৃথিবীতে তার কোনো বন্ধু নেই।

মান্না আরও বলেন, সরকার জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। বিদেশি কোনো সরকার তাদের সঙ্গে নেই, যাদের ওপর নির্ভর করত। অতএব, এটাই সময় সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার।’

জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, অতীতে কোন দলের ভূমিকা কী ছিল, এটা পর্যালোচনা করি না। বর্তমান দুঃশাসনের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামে নেমে পড়ব, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য আরও সুদৃঢ় করতে হবে। যোগাযোগ বাড়াতে হবে। সম্মিলিত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ সরকারের পতন ঘটাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *