সকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পড়াতেন। আবার বিকাল হলেই কানু কুমার নাথ (৫৮) হাটহাজারী ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে গত ২৮ বছর ধরে একই সঙ্গে দুটি সরকারি চাকরি করে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। গত রবিবার সন্ধ্যায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম ২-এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিজ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২৮ বছর ধরে দুই পদে চাকরি করে সরকারি কোষাগার থেকে অন্তত অর্ধ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।
advertisement 3
১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে যোগদান করেন চট্টগ্রামের মিরসরাই কমলদহ খাজুরিয়া গ্রামের বিহারী নাথের পুত্র কানু কুমার নাথ। সরকারি এই চাকরি থাকাকালীন ৮ মে ১৯৯৪ সালে ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক (এমপিওভুক্ত) পদেও যোগদান করেন কানু কুমার নাথ। পরে ২০০২ সালে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। সরকারি এই দুই চাকরিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯ টাকা সরকারি অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এতে দণ্ডবিধি ৪২০ ও ৪০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অপরাধ করেছেন কানু কুমার নাথ।
advertisement 4
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ উপপরিচালক (ডিডি) মো. আতিকুল আলম বলেন, কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরির নিয়ম ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।