চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হাজারো মানুষের সামনে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পিটালেন কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। পরে তার নির্দেশে ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী ও ছাত্রলীগ নেতা মিসকাত খোকার নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফায় ওই নেতার ওপর হামলা চালানো হয়। পরে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গতকাল রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এই অভিযোগ করেন মারধরের শিকার চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলমগীর হোছাইন।
পৌর শহরে তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গত ৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে পৌর এলাকার নয় নম্বর ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন চলাকালীন সংসদ সদস্য জাফর আলম অতর্কিত আমাকে হামলা ও মারধর করে। পরে তারই নির্দেশে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী ও মিসকাত খোকার অনুসারীরা। তারা আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ করে। যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে আমার পরিবারের ভূমিকা রয়েছে। আমি এ হামলার ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া সাংগঠনিক দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীরের বক্তব্য দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় সংসদ সদস্যের সাথে। ওই সময় তার অনুসারীরা এসে মারধর করেছে। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলের নেতাকর্মীরা জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন চলাকালীন আলমগীর হোছাইন বক্তব্য দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় সংসদ সদস্য জাফর আলম বক্তব্য দেয়া যাবে না বলে তাকে জানিয়ে দেন। এক পর্যায়ে কেন বক্তব্য দেয়া যাবে না জানতে চান আলমগীর।
এ সময় জাফর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে আলমগীরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও থাপ্পড় মারেন। ওই সময় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী ও ছাত্রলীগ নেতা মিসকাত খোকার নেতৃত্বে আলমগীরের ওপর হামলা চালানো। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। পরে আওয়ামী লীগের নেতারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।