করোনাভাইরাসে বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে; অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে আড়াই শতাধিক। এ সময় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৪ জন; অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৭০ হাজারের বেশি।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে, রোববার বিশ্বে করোনায় ১ হাজার ১৫০ জনের মৃত্যু এবং ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭০ জন শনাক্ত হয়েছিল। এছাড়াও একদিনে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫২ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ১৩০ জন এবং মারা গেছেন ২৮৪ জন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৫৫ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ১৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৩৯ জন। ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৪ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২০ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন।
একইসময়ে ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। তাইওয়ানে মারা গেছেন ৩৫ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৮ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ৮৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৪২ জন। ফিলিপাইনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩২১ জন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন। অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮২১ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৩১ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ কোটি ১ লাখ ৮১ হাজার ৬১১ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ লাখ ৩ হাজার ৪৫৩ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ২০৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।