অননুমোদিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আবারও অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার (২৮ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি জানান, অননুমোদিত হাসপাতাল, ব্লাডব্যাংক বন্ধে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকশনে যাচ্ছি আমরা। আবার ৭২ ঘণ্টার একটি আল্টিমেটাম দিয়ে অভিযান চালানো হবে। আগামী সোমবার থেকে বুধবার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এর আগে গত ২৬ মে একই ধরনের অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত দুই মাসে সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৪১টি অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংক বন্ধ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
একই সময়ে নতুন রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এসেছে ১ হাজার ১০৩ প্রতিষ্ঠান ও লাইসেন্স নবায়ন করেছে ২ হাজার ১৮১ প্রতিষ্ঠান। এ থেকে সরকার ২০ কোটির বেশি টাকার রাজস্ব আয় করেছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের অভিযান শুরুর পর থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নতুন লাইসেন্সের জন্য ২ হাজার ৩৩৯ আবেদন জমা পড়ে। লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য ৪ হাজার ৫৯৮ আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে এই সময়ে নতুন লাইসেন্স নবায়ন করা হয় ১ হাজার ১০৩টি এবং রিনিউ করা হয়েছে ২ হাজার ১৮১টি।
সূত্র জানায়, যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন রয়েছে অথচ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সব শর্ত মানছে না, পরিস্থিতির উন্নতি করার জন্য তাদের ৩ মাস সময় দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৩ মাস হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা নিয়ম মেনে লাইসেন্স রিনিউ বা নতুন লাইসেন্স নেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই নতুন এ অভিযান চালানো হবে।
এ বিষয়ে গত ২৪ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সারাদেশের সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে বলে জানান ডা. আহমেদুল কবির।