আলোচিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি শিগগিরই শেষ করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দিয়েছে ভারত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল বিষয়টি উত্থাপন করলে এ আশ্বাস দেয়া হয়।
দীর্ঘদিনের ব্যবধানের পর আগামী মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে বাংলাদেশ-ভারত জেআরসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
দিল্লির সুষমা স্বরাজ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অভিন্ন নদ-নদীর পানিবণ্টন চুক্তির খসড়া কাঠামো প্রস্তুতির জন্য আরও কিছু অভিন্ন নদীর ডেটা ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
উভয়পক্ষই গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি, ১৯৯৬ এর বিধানের অধীনে বাংলাদেশের প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছে। বৈঠক পরবর্তী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর অভিন্ন অংশ থেকে পানি প্রত্যাহারের জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়েও ভারতীয় পক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে, বিষয়টি তাদের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন, মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন জলসম্পদ সচিব পঙ্কজ কুমার।
আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই দেশের অভিন্ন নদ-নদী বিশেষ করে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার এবং কুশিয়ারা সংক্রান্ত সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়াও বন্যা সংক্রান্ত তথ্য ও তথ্যের আদান-প্রদান, নদীর তীর রক্ষার কাজ, সাধারণ অববাহিকা ব্যবস্থাপনা এবং ভারতীয় নদী আন্তঃসংযোগ প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
জেআরসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সচিব পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পানি সংক্রান্ত সব সমস্যা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।