সাত খুনের অভিযোগপত্রে নজরুলের স্ত্রীর নারাজি

Slider জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা

dd05157fa80bb4e214bfb20c4d1e2c67-n-gong-7-mader

 

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলার অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে নারাজি পিটিশন দিয়েছেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। আদালত ৮ জুন ওই পিটিশনের শুনানির তারিখ দিয়েছেন। অভিযোগপত্র থেকে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া ও অনেক আসামির নাম না থাকায় সেলিনা নারাজি দেন বলে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালত র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে নিয়মিত হাজিরা শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে অপর মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালকে পরবর্তী তারিখে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেলিনা ইসলামের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র থেকে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালতে আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অনেকের নাম এলেও অভিযোগপত্রে তাদের নাম আসেনি। তাই আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।

সকালে সাত খুনের মামলার খুনিদের ফাঁসি ও বিচারের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে মামলা করেন। এ পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২২ আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

দীর্ঘ ১১ মাস তদন্ত শেষে গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল পৃথক দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত এবং ১৬ জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ২২ জন কারাগারে গ্রেপ্তার রয়েছে। পলাতক হিসেবে র‌্যাবের ৮ সদস্যসহ ১৩ জনকে দেখানো হয়েছে।

সাত খুনের ঘটনার পর অন্যতম অভিযুক্ত আসামি নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যান। পরে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সেখানকার আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের আদালতে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে একটি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। এ দুটি কারণ দেখিয়ে গতকাল রোববার তাঁকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *