ঢাকা মহানগর আ.লীগের নতুন কমিটি শিগগিরই

Slider ঢাকা রাজনীতি

AL_01sm_482886792

ঢাকা: অনেকদিন ধরেই ঝুলে থাকা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হতে পারে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর পরই বিষয়টি দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনায় আসে।

সিটি নির্বাচনের পর এখন সংগঠনকে গতিশীল করতে নতুন কমিটি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সম্মেলনের পর আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরনো কমিটি দিয়েই চলছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। শুধু মহানগরই নয়, এর অন্তর্গত থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোরও একই অবস্থা।

এ ছাড়া সম্মেলনের এক বছর পার হওয়ার পরেও থানা ও ওয়ার্ডগুলোতেও কমিটি দেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, জাতীয় নির্বাচন, বিরোধীদলের আন্দোলন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যু সামনে চলে আসায় ঢাকা মহনগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা ঝুলে যায়। আর মাত্র ছয় মাস অতিবাহিত হলেই নতুন সম্মেলনের সময় চলে আসবে। তবে এখন আর কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে সামনে কোনো সমস্যা নেই।

মহানগরের নতুন কমিটি দেওয়ার বিষয় নিয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই/একজন নেতার সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।

নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ দুটি কমিটি করা হবে। মহানগর কমিটির পর দেওয়া হবে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি। তবে কবে নাগাদ এ কমিটি দেওয়া হতে পারে, সে ব্যাপারে কেউ নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাননি।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, ঢাকা মহানগর কমিটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কবে ঘোষণা দেওয়া হবে, সেটা কেউই বলতে পারবেন না। তবে কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। দ্রুতই দেওয়া হতে পারে বলে জানান তারা।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিন বছর পর পর দলের প্রতিটি ইউনিটের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যত দিন পর্যন্ত নতুন কমিটি দেওয়া না হবে, ততদিন পুরনো কমিটিই বহাল থাকবে এবং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এরপর থেকেই পুরনো কমিটি দিয়েই চলছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।

এর মধ্যে অবশ্য ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনও হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মহানগরের ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন সম্পন্ন করা হয়। মহানগর কমিটি না দেওয়ায় সম্মেলনের পর থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোও দেওয়া সম্ভব হয়নি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং বিরোধীদলের আন্দোলনের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়নি। নতুন কমিটি ঘোষণার পর দলের মধ্যে পদপ্রত্যাশী যারা কমিটিতে আসতে পারবেন না, তাদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া থেকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হতে পারে।

সরকারবিরোধী আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা এবং নির্বাচনে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে, এ কারণেই নতুন কমিটি দেওয়া হয়নি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মহানগরের ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর কিছু দিন পর আবারও বিরোধী পক্ষের আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হয়। চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত চলে এই পরিস্থিতি। এর পর আসে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।

দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ-বিক্ষোভের কারণে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে কারণে নির্বাচনের আগে কমিটি দেওয়া হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন কমিটি দিতে সমস্যা নেই বলেও আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *