২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ১৩৭ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ৩৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৯ জন খুলনা বিভাগের, ১৩ জন বরিশাল বিভাগের এবং ৬ জন সিলেট বিভাগের।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) একজনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৮ হাজার ৫০০ জনের করোনা শনাক্ত হলো এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময় করোনা আক্রান্ত ৩৫০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৩৮৭ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১১ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের হুয়ানান সি-ফুড ও বন্যপ্রাণির বাজার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। ওই বাজার ছিল মহামারির কেন্দ্র। একাধিক গবেষণায় এর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত দুটি গবেষণায় উহান শহরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তথ্য-উপাত্তগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৬ জুলাই ওই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের শুরুর দিকের সংক্রমণের ঘটনাগুলো হুয়ানান বাজারের আশপাশেই হয়েছিল। অপর গবেষণাটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সঠিক সময় জানতে করোনার জেনেটিক তথ্য ব্যবহার করা হয়।
এর মানে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম সংক্রমণের খবর এলেও ওই বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের দুটি ধরন বিদ্যমান ছিল।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।