ঢাকা: আগামী ৭ মে (বৃহস্পতিবার) বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্যাহ মাস্টারের (এমপি) ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব কর্মসূচি পালিত হবে।
মঙ্গলবার (৫ মে) শহীদ আহসানউল্যাহ মাস্টার (এমপি) স্মৃতি পরিষদ’র গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ মে) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দরাবাদ গ্রামে আহসানউল্যাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, পবিত্র কোরআন খানি, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, স্মরণসভা, স্মরণিকা প্রকাশ এবং আলোচনা সভা।
৭ মে (বৃহস্পতিবার) তার ১১তম মৃত্যুবার্ষির্কী উপলক্ষে বুধবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ আহসানউল্যাহ মাস্টার (এমপি) স্মৃতি পরিষদ আযোজিত রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপ মিলনায়তনে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে মন্ত্রী, এমপি, শিক্ষক, আইনজীবী ও সাংবাদিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেবেন।
একই দিন বিকেলে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ আহসানউল্যাহ মাস্টারের স্মরণে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আহসানউল্যাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনি শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদত পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে আহসানউল্যাহ মাস্টারকে হত্যা করে।
২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়। রায়ে প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই মামলায় ২৮ জনের মধ্যে ২ জন খালাস পান।
প্রধান আসামিসহ ১৬ জন দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বাকি ১০ জন আসামি ভারত, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি,কানাডা, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন বলে বার্তায় জানানো হয়।
ইতোমেধ্যে দু’ আসামি কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
হাইকোর্টের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের আদালতে এই হত্যা মামলাটি এখনও বিচারাধীন। আহসানউল্যাহ মাস্টারের ছোট ভাই বর্তমানে গাজীপুর জেলা স্বেচছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি ওই হত্যা মামলার বাদি।
আহসানউল্যাহ মাস্টারের বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদে টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ নেতাকর্মীসহ সব স্তরের মানুষকে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।