সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই জিম্বাবুয়ে সফরে যাবেন নবনিযুক্ত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। খণ্ডকালীন দায়িত্বে নতুন কোনো পরীক্ষা-নীরিক্ষা নয়, দলগত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়েই এগোতে চান তিনি। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দুর্দশা কাটাতে, খেলতে চান ভয়ডরহীন ক্রিকেট।
নিজের ব্যাটিং গড় নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না সোহান। বরং দলের প্রয়োজনে অবদান রাখাই তার কাছে মুখ্য। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান
আনুষ্ঠানিক ঘোষণারও আগে গুঞ্জন শুরুর পর থেকেই চারদিকে হায় হায় রব- নুরুল হাসান সোহান কেনো অধিনায়ক! ৩৩ ম্যাচে ১২.৯০ গড়ে যার ২৭১ রান, সর্বোচ্চ ইনিংস ৩০। এমন একজনকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব দেয়া হলে সমালোচনা হওয়াটা অস্বাভাবিকও নয়। কিন্তু গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এসবে কর্ণপাত করলে কি চলে! জিম্বাবুয়েতে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ক্যাপ্টেন্সি পাওয়া সোহানও ভাবতে চাইছেন না ওসব।
সংবাদ সম্মেলনে রোববার (২৪ জুলাই) তিনি বলেন, রানের হিসাবে ১৫ বা ২০ রান অনেক কম। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খেলার ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারছি। ভাবনাটা তিন ম্যাচ নিয়ে। ফলাফল যেন ইতিবাচক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসে। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে জিম্বাবুয়েতেও যেন আমরা একটা টিম হিসেবেই খেলতে পারি।
প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের তুলনায় খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ে। তাদের বিপক্ষে পরিসংখ্যানও অনুকূলে। তাই আফ্রিকার দেশটিতে জয়ই কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের যেখানে বাকি ৩ মাসেরও কম সেখানে এমন একটা সিরিজের ফলাফল কতোটা তাৎপর্যপূর্ণ? অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরপরই গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছিলো দলের।
ওই দুই হোম সিরিজের পর গেল ১৫ ম্যাচে মাত্র ৩টিতে জিততে পেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। তাই প্রশ্ন জাগে, সবসময় জয়ই কি মুখ্য? এ প্রশ্নের উত্তরটা হয়তো জানেন শুধু নীতি নির্ধারকরাই। সোহানের সঙ্গে দল নিয়ে তারা যে আলোচনাও করেননি খুব একটা।
তিনি বলেন, অপশন যে খুব বেশি ছিল এমনও না। আমার কাছে যেটা মনে হয়, গত কয়েক বছর ধরে যারা খেলছে তাদের নিয়েই দল গড়া হয়েছে। এমনও না যে আলোচনা করার অনেক সময় ছিল। যে টিমটা পেয়েছি আমি খুশি।
আপদকালীন ক্যাপ্টেনের দৃষ্টিসীমায় শুধু জিম্বাবুয়ে। তবে এক সিরিজের জন্য দায়িত্ব পেলেও নিজের একটা ছাপ রেখে যেতে চান তিনি। একইসঙ্গে বিপরীতধর্মী দুই চরিত্রের অধিকারী সোহান। এমনিতে শান্ত স্বভাবের, তবে মাঠে প্রয়োজনে প্রতিপক্ষকে আঙুল তুলে শাসাতেও পারেন। এ সাহসী মনোভাব তিনি চান গোটা দলের মাঝে।
এ বিষয়ে সোহান বলেন, আগে থেকে রেজাল্ট নিয়ে চিন্তা করলে অনেক সময় এটা ঠিক থাকে না। আমার কাছে মনে হয় ফেয়ারলেস ক্রিকেট খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন দায়িত্ব নেয়ার আগে সিনিয়রদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন সোহান। জিম্বাবুয়েতেই দিতে চান আস্থার প্রতিদান।