আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্টের প্রতি আন্দোলনকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগে না করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য— শক্তি প্রয়োগ করলে জনগণের কাছে খারাপ বার্তা যাবে।
অর্থনৈতিক সংকটের জেরে গত কয়েক মাস যাবত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার জনগণ বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভের জেরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পলায়ন ও পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। এরপর শুক্রবার বিক্রমাসিংহে বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের মাধ্যমে অভিযান চালান। নিরাপত্তা বাহিনী আন্দোলনকারী, আইনজীবী ও দুইজন সাংবাদিকসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, শ্রীলঙ্কার মানুষদেরকে এটা ভয়াবহ এই বার্তা দেবে যে, নতুন সরকার আইনের শাসনের পরিবর্তে পাশবিক শক্তি প্রয়োগ করতে চায়।
অন্যদিকে ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সহিংস কৌশল বেছে নিয়েছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের ঘটনায় বিদেশি কূটনীতিকদের দেওয়া বিবৃতিতে চটেছেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলম্বোয় নিযুক্ত কূটনীতিকদের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগের কথা জানান তিনি। সূত্র: আল জাজিরা