কে-টু জয় করলেন প্রথম বাংলাদেশি ওয়াসফিয়া নাজরীন

সারাবিশ্ব


এভারেস্ট বিজয়ী পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে-টুর চূড়ায় পা রাখলেন। গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ওয়াসফিয়ার ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, ১৭ জুলাই রাতে ৩৯ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী কে-টুর চূড়ায় ওঠার জন্য যাত্রা শুরু করেন। বিখ্যাত তিন পর্বতারোহী মিংমা তেনজি শেরপা, মিংমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজা এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

বিশ্বের ১৪টি ৮ হাজারি শৃঙ্গের মধ্যে কে-টুর (৮৬১১ মিটার) অবস্থান মাউন্ট এভারেস্টের (৮৮৪৮ মিটার) পরই। আর উচ্চতার হিসাবে ব্রড পিক (৮০৫১ মিটার) বিশ্বে দ্বাদশ। তবে পর্বতারোহীদের কাছে অন্যতম কঠিন পর্বত কে-টু। গত বছরের জানুয়ারিতে শীতকালে কে-টু শৃঙ্গে উঠে যে ১০ জন নেপালি পর্বতারোহী বিশ্বরেকর্ড করেন, মিংমা তেনজি শেরপা তাদেরই একজন। এ ছাড়া ১০ বার এভারেস্ট জয়সহ ১১টি ৮ হাজারি শৃঙ্গ জয়ের নজির আছে মিংমার ঝুলিতে। অন্যদিকে ওয়াসফিয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১২ সালের ২৬ মে এভারেস্ট জয় করেন। এরপর বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গও জয় (সেভেন সামিট) করেন তিনি। গত জুন মাসে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ফেসবুক পেজে লাইভে এসে অভিযান নিয়ে কথা বলেন ওয়াসফিয়া। তিনি ওই সময় বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ জুন ইসলামাবাদ থেকে দলেবলে গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চলের স্কারদু শহরে যাবেন তারা। প্রায় আড়াই মাসের এ অভিযান শুরু হবে ব্রড পিকের চূড়ায় আরোহণের লক্ষ্য নিয়ে। সফল হলে পা বাড়াবেন কে-টু পর্বতশৃঙ্গ ছুঁতে। ১২ জনের দলে ওয়াসফিয়াসহ নারী পর্বতারোহী ছয়জন। যাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি। উচ্চতায় এভারেস্টের পর হলেও পর্বতারোহীদের কাছে সবচেয়ে কঠিন পর্বত কে-টু। ১৯৫৪ সাল থেকে মাত্র ৪২৫ জন এটির চূড়ায় উঠেছেন, যার মধ্যে ২০ জন নারী। এএফপি জানায়, শুক্রবার ওয়াসফিয়া নাজরীনের সঙ্গে কে-টু জয় করেছেন ইরানি আফসানেহ হেসামিফার্ড, লেবানিজ-সৌদি নাগরিক নেলি আত্তার ও পাকিস্তানের সামিনা বেগ। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে কে-টু জয় করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *