নেপালে শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর রবিবার সর্বশেষ খবরে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার তিনশ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে দেশটির সরকার আশঙ্কা করছে। খবর : বিবিসি ও রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে, আর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে অনেকে। রাজধানী কাঠমান্ডু ও সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সর্বশেষ হিসেবে আহত হয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।
এদিকে নেপালে ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে জরুরি উদ্ধার তৎপরতার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে।
উদ্ধারকর্মীরা শনিবার রাতভর ধ্বংসস্তূপ থেকে আটকে পড়া ব্যক্তিদের বের করে আনতে অনেক ক্ষেত্রে খালি হাতেই চেষ্টা চালিয়ে যান।
ভূমিকম্পের পর নেপালকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ। এর মধ্যেই ওষুধ, উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে ভারতে কয়েকটি বিমান নেপাল পৌঁছেছে। এর আগে দেশটির তথ্যমন্ত্রী মীনেন্দ্র রিজ্জাল বলেন, এই বিপর্যয় মোকাবিলায় তার দেশের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।
রিখটার স্কেলে ৭ দশকি ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কাঠমন্ডু ও পোখরার মাঝের লামজুং। ৮০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ধারাহারা টাওয়ার ধসে নিহত হয়েছেন ১৮০ জন। দেশটির হাসপাতাল থেকে শুরু করে বাড়িতে কেবল মানুষের আর্ত চিৎকার শোনা যাচ্ছে। বহু লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ভূমিকম্পের আঁচ পড়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতেও। বাংলাদেশে চারজন এবং সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতে ৫৪ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর ভূমিকম্পের পর বরফ ধসে মাউন্ট এভারেস্টে ১০ জন নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসি, রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি’র।