কয়েক দিন ধরে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এর মধ্যেই বুধবার (১৩ জুলাই) সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হতে পারে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিচ্ছন্নভাবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উড়িষ্যা উপকূলের অদূরবর্তী উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত ও সুষ্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর একটি বাড়তি অংশ পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি ধরনের সক্রিয় রয়েছে।
রাজশাহী, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার রাঙ্গামাটিতে সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর রাজশাহী ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
নেত্রকোনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সিলেটে ১৪ এবং পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এদিন, রাঙামাটি, কুমিল্লা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, বাগেরহাটের মোংলা, সাতক্ষীরা এবং যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়। এদিন সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ।
ঢাকায় বুধবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে এবং বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে।